মিরসরাইয়ে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ছে গরুর ল্যাম্পি স্কিন রোগ
প্রকাশিত : ১৩:০৫, ৯ আগস্ট ২০২৩
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে গবাদিপশুর ভাইরাসজনিত রোগ ল্যাম্পি স্কিন। উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় এই রোগে আক্রান্ত গরুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার পাশাপাশি রোগের সঠিক কোনো ভ্যাকসিন না থাকায় বিপাকে পড়েছেন খামারিরা।
প্রাথমিক চিকিৎসায় কিছু কিছু গরু সুস্থ হলেও দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলায় প্রায় ১৫ হাজার গরু রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় এক হাজার গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। অনেক খামারি গরু নিয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে রোগটি।
উপজেলার করেরহাট এলাকার ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে যেসব গরু আসছে সেসব গরুর মধ্যে এ রোগে আক্রান্ত গরু রয়েছে। অনেক গরুর মালিক অভিযোগ করেছেন, প্রাণিসম্পদ অফিসে গিয়ে কোনো প্রতিকার মিলছে না। রোগটি ছড়ানোর পরও ভ্যাকসিন না থাকায় চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা।
জানা গেছে, নিয়মিত গরুর গোবর পরিষ্কার না করা ও মেঝে স্যাঁতসেঁতে থাকায় সেখানে মশার মতো ছোট ছোট পোকা জন্ম নেয়। ওই পোকাগুলো গরুর শরীরে যেখানে কামড় দেয়, সেখানে ফুলে চাকা চাকা হয়ে যায়, যা ল্যাম্পি স্কিন রোগ নামে পরিচিত। অনেক সময় তা ফেটে রক্ত বের হয়, আবার চামড়াও ফুটো হয়ে যায়।
উপজেলার জামালপুর এলাকার গরুর মালিক সবুজ বলেন, লাভের আশায় একটি ষাঁড় পালন করেছি। ল্যাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর অনেক টাকা খরচ করেছি। এখনও সুস্থ হয়নি, কবে সুস্থ হবে বলতে পারছি না।
আনোয়ার এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার খামারে দুটি গরু মারা গেছে। আরx একটি অসুস্থ হয়ে রয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: জাকিরুল ফরিদ বলেন, ল্যাম্পি স্কিন একটি মহামারী রোগ। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ না থাকায় টিকা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবু আমরা সাধ্য মতো চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, খামার পরিষ্কার পরিছন্ন রাখলে এ রোগ ছড়ায় কম। ল্যাম্পি স্কিন রোগ নিরাময়ের জন্য মাঠপর্যায়ে কৃষক ও খামারিদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের টিম এ নিয়ে কাজ করছে।ৎৎ
এএইচ
আরও পড়ুন